নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি,বুধবার,রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।বিভিন্ন খাতে সরকারের আয় ও ব্যয়ের হিসাব,বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিতে উপকৃত মানুষের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে বিগত কয়েকদিন দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।এবার সেই আগুনে ঘি ঢালতে,বকেয়া ডিএ’র দাবিতে আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন)।সরকারি কর্মীদের বক্তব্য অনুসারে, বকেয়া ডিএর পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।অনেকে ঘটনাটিকে মরুভূমিতে এক বালতি জল ঢালার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
একজন কর্মীর বক্তব্য, “আমাদের প্রাপ্য ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই। আমরা ভিক্ষার করার জন্য এখানে সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে বসিনি।’সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর ডাকা ২ দিনের কর্ম বিরতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শনিবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। শাসক দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার অফিসে না এসে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, শো-কজ করাও হতে পারে।
এমনকি নেওয়া যাবে না হাফ ছুটিও। কিন্তু অসুস্থতার কারণে,বাড়িতে কেউ মারা গেলে যদি কেউ তার কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে না পারে, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখালে ছুটি মঞ্জুর করা হবে।