নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): হার হয়েছে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে। আর তারপর থেকেই পরাজয়ের কারণ খোঁজা শুরু হয়েছে। উঠে এসেছে একাধিক কারণ। প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপির নীতিহীন জোটবদ্ধ লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আর তাই তৃণমূলের হার। দলীয় স্তরে কাটা ছেঁড়া চলছে। এর মধ্যেই হুগলির আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সাগরদিঘির পরাজয় নিয়ে ফেসবুক পোস্টে দলের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। যারা খারাপ কাজ করেছে, তাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। দলের সঙ্গে বেইমানি করে দলকে ছুরি মেরেছে বলে তাদের দল রেড কার্ড দেখিয়েছে। এই মন্তব্য করেছেন অপরূপা।
আর এর পরেই সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় নিয়ে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী নিজের বক্তব্য জানালেন। ত্বহা সিদ্দিকীর কথায়, সামনের ভোটে বিবেচনা করে প্রার্থী না দিলে সাগরদিঘির মত অবস্থা হবে গোটা বাংলায়। প্রার্থী দিতে হবে বুঝে শুনে। যেখানে সংখ্যালঘু বেশি, সেখানেই সংখ্যালঘু প্রার্থী দিতে হবে। এটা বুঝতে হবে। যেখানে হিন্দুর শতাংশ বেশি, সেখানে হিন্দু প্রার্থী দেওয়াই উচিত। সংখ্যালঘুদের মধ্যে বহুদিন ধরেই এটা নিয়ে ক্ষোভ আছে। সিপিএম, কংগ্রেস একই কাজ করেছে। তৃণমূলও এখন তাই করছে। যেখানে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ মুসলমান সেখানে হিন্দু প্রার্থী কেন দেব? আজকে যার জবাব দিয়েছে। সামনের ভোটে যদি বিবেচনা করে প্রার্থী না দেওয়া হয়, তাহলে পশ্চিমবাংলায় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ঘটনা ঘটতে পারে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপির মতো তৃণমূল ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষের জন্যই উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্বহা সিদ্দিকী তার উপলব্ধি থেকে কিছু বলেছেন। সেই বক্তব্য নিয়ে কিছু বলবো না।