নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): গ্রামীণ এলাকাজুড়ে বাড়ছে মদ সহ একাধিক নেশার সামগ্রীর অবৈধ কারবার। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় রমরমিয়ে এই কারবার বেড়ে চলেছে। কোথাও চা পাতার দোকানের আড়ালে আফিম, ডোডার কারবার, আবার কোথাও বাড়িতেই চলছে বিদেশি মদের ব্যবসা। অথচ, প্রশাসনের তরফে এমন কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, তাঁদের কাছে এমন খবর নেই। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর থেকে বিধাননগর পর্যন্ত ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই বিভিন্ন দোকানে এই ডোডার কারবার। সক্রিয় হয়েছে বাইরের রাজ্যের লরিতে করে আফিম পাচারের চক্র। আফিম যাচ্ছে পঞ্জাব সহ বাইরের রাজ্যে। ওই সমস্ত দোকানে অফিম এবং ডোডার পাশাপাশি, গাঁজার কারবারও চলছে অভিযোগ। এর আগে এলাকায় একাধিক দোকানে হানা দিয়ে গাঁজা, ডোডা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরপর থেকে কিছুদিন এই কারবার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, ইদানীং ফের এই অবৈধ কারবার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত দোকানে দিনে এবং রাতে মাদকাসক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে বলে স্থানীয়রাই স্বীকার করছেন। ছোট ছোট প্যাকেটে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে৷ আফিম এবং ডোডার ক্ষেত্রেও কায়দা একই বিক্রি হচ্ছে৷ দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার মাদকের কারবার চলছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, ঘোষপুকুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বিদেশি মদের কারবার চলছে। রেস্তরাঁর আড়ালে এবং বাড়ি থেকে চলছে মদের কারবার। লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানে না গিয়ে বসে মদ্যপানের সুযোগ নিতেই সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে। ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকাতেও এমন সুরা পানের ব্যবস্থা রয়েছে।
এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়দের তোলা অভিযোগে ভূমিকা নেই পুলিশের। গ্রামীণ এই এলাকায় আফিম, ডোডা, গাঁজা এবং অবৈধ মদের কারবারের পাশাপাশি, বিধাননগর এলাকায় কুটির শিল্প হয়েছে ভেজাল মদের। রাজনৈতিক দলের নেতাদের মদতেই চলছে ভেজাল মদের কারবার। বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প করে কাঁচা স্পিরিট এবং রং মিশিয়ে মদ তৈরি করে তা পাশের রাজ্যে বিহারে পাচার করা হচ্ছে। এই কারবারে মাঝের কিছুদিন ভাটা পড়লেও, ফের রমরমা বাড়ছে বিষ মদ পাচারের। এত ধরণের কালা কারবার যে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ-প্রশাসনের অগোচরে হচ্ছে তা মানতে নারাজ সমাজের বিশিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশিষ্টদের কথা অনুযায়ী, সমস্ত কালা কারবার রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সেটিং করেই চলছে। সমাজের কথা মাথায় রেখে এই কারবার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।