Sunday, July 20, 2025
Homeখবরসিনেমা - রাস / পরিচালক - Tathagata Mukherjee...

সিনেমা – রাস / পরিচালক – Tathagata Mukherjee তথাগত মুখার্জী

Raas- Finding your roots.

Once, the Chakrabortys of Manikpur were a thriving family of 34, united in laughter, meals, and the grand celebration of Raas. In the ’90s, the second-born son, Rajat, left for Kolkata to chase his ambitions, leaving behind his wife, Annapurna, and their son, Somnath. Raised among his cousins, Somnath grew closer to his grandmother than his mother. When he was twelve, Annapurna succumbed to a terminal illness. Rajat, unaware until his return, was consumed by anger and left Manikpur with his son, vowing never to return.
Raas is a story of self-discovery, of reconnecting with one’s roots, and of embracing the true essence of being Bengali.

Produced by – Chhobir Moto Entertainment Chhobir Moto Entertainment
Story and Direction – Tathagata Mukhopadhyay
Music Director – @Satyak Bandopadhyay iSatyaki Bandopadhyay
Rabindra sangeet arrangement – Manoj Murli Nair
Dop – Uttaran De
Art Director- Anandya Addhya
Assistant art director – Brinda and Pappu
Editor – Amir Mondal
Assistant Editor – Srimanta dolui
Sound Design- Adeep Singh Manki
Sound Mixing – Tanmoy Saha
Costume Design – Suchishmita Dasgupta
Screenplay and Dialogues- Antara Banerjee and Tathagata Mukhopadhyay
Additional dialogue – Samragee Bandopadhyay
Executive Producers- Urmila Majhi
Mitaa Pal
Chief Assistant Director- Pratik Das
Assistant directors –
Soumen Karan
Riti Kayal
Director’s Assistants –
Avik Maity
Sanbarta Ghosh
Aalokbarsha Bose Aalokbarsha Bose
Tridev

Production controller -Subir Routh
Makeup-Abhijit Das
Hair-Shyamali Das
Line Production- Star Entertainment Studio
Poster design -Swarnava Bera
VFX- Subhayan Chandra

💟📽🎬 Main cast 🎬📽💟
Vikram Chatterjee Vikram Chatterjee Vikram Moments বিক্রম চ্যাটার্জি
Devlina Kumar Devlina Kumar DrDevlina Kumar
Anirban Chakraborty Anirban Chakrabarti
Anashua Majumdar Anashua Majumdar
Arna Mukhopadhyay Arna Mukhopadhyay
Shankar Debnath Sankar Debnath
Sudip Mukherjee Sudip Mukherjee
Ranajoy Bishnu Rano Joy
Parijat Chaudhuri
Apratim Chatterjee Apratim Chatterjee
Suchandra Banerjee
Debaprasad halder Deboprasad Haldar
Sumit Datta Sumit Datta
Debasish Roy Debashis Roy
Bimal Giri Bimal Giri
Aishwarya Paul Aishwarya Paul
Pamela Kanjilal Pamela Kanjilal
Papiya Pal
Mousumi Adhikary Mousumi Adhikary
Swati Mukherjee SwAti MuKheRjee
Sanjita
Suraiya Parvin Suraiya Parvin
Rick Arya Deb Rick Arya Deb
Riyanka Roy Riyanka Roy
Rishav Chakraborty Rishav Chakraborty
Nilay Samiran Nandi
Biswajit Roy
Satrabit Paul
Alok Pramanik
Sarbadaman Som Sarbadaman Som
Ratna Maitra Ratna Maitra
Siddhartha Mandal
Snehawm
Debasmita Basu
Anuradha Mukherjee
Kalpota Mukherjee
Ankita Chakraborty
Gargi Mandal
Sneha Sarkar
Debasree Chakraborty
Soumosree Kashyapi
Arnit Saha
Shreyanshi Banerjee
Jayanta Bhattacharyya

রিভিউ ও কোলাজ – ( নিজস্ব সংবাদদাতা – সুজয়া রায় )

গতকাল প্রিয়া সিনেমা হল , সন্ধ‍্যা ৭:১৫ একজন অসম্ভব দক্ষ এবং লড়াকু পরিচালকের ( তথাগত মুখার্জী ) পরিচালনায় সৃষ্টিশীলতার মাপকাঠিতে তৈরী অনবদ্য একটা বাংলা সিনেমা দেখে এলাম আমার মাকে সাথে নিয়ে , সিনেমার নাম – রাস ।
আমি সব সময় একটা কথা বলে থাকি এবং এখনো বলব যে রিভিউ অত‍্যন্ত কঠিন এবং ধৈর্যের কাজ । একদম অতল সমুদ্রে ডুব না দিলে এই কাজ করা অত‍্যন্ত শক্ত । আমি চেষ্টা টুকু করি কতটা পারলাম বা
পারলাম না সেটা সম্পূর্ণ আপনার হাতে ।
তাহলে আর দেরী না করে কাজে হাত দেয়াই মঙ্গল । ঠিক কিভাবে শুরু করব আর কি দিয়ে শুরু করব তা একটু হলেও সময় সাপেক্ষ ।
আমরা সবাই ইঁদুর দৌড়ের পেছনে দৌড়তে গিয়ে আমাদের আবেগ ভালোবাসা সব কিছু কেমন ভুলে যাই তাই না ! আমাদের ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্ন আর ইচ্ছে গুলোকে এক নিমেষে পিশে মেরে ফেলি । সেই যান্ত্রিক পাকদন্ডির মধ‍্যেই সোমনাথ পড়ে যায় । তার বসের মুখে অফিসের প্রোজেক্টের নানা কথা । বিভিন্ন কোম্পানির চাপ আরও কত কি । সেই সাথে বাবার খানিক দায়িত্ব যেটা সোমের কাছে সত্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল । বাবার চোখের পেসক্রিপসান খুঁজতে যাওয়াটা যেন সোমের কাছে সাপে
বর হওয়া রূপে ধরা দিল । কেন বলুন তো ? একটু প্রশ্ন রেখে দেয়া ভালো , সবটাই যদি বলে দিলাম তাহলে রাস দেখতে যাওয়ার আকর্ষন আর থাকবে কি করে ? অফিসের প্রোজেক্টের নাম করে তার চলে আসা মানিকপুরে । মানিকপুর তার জন্মভিটে । বাড়ির নাম
চক্রবর্তী বাড়ি । যৌথ পরিবারের ছেলে সোম ওরফে সোমনাথ । কাকা জেঠাদের আর কাকিমাদের মায়ায় ভরে থাকে চক্রবর্তী পরিবার । হঠাৎ করেই বহু বছর পরে আগমন সোমনাথের ।
সিনেমার শুরুতেই বসের কথা মনে আছে সবার , সোমনানের বসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন । কর্পোরেট অফিসের একদম আইডিয়াল বসের চরিত্রে।
একদম যথোপযুক্ত এবং মানানসই । জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য ওরফে সোমনাথের বস , সোমকে চাকরির সূত্রে প্রোজেক্টের কাজে বায়রে পাঠানো সত্বেও সত্যিই সত্যিই কি সোমনাথ গেল বায়রে ? না কি তার আদর্শকে ধরে রাখল ? সবটা অনূভব করতে গেলে রাস দেখতে হবে সপরিবারে । বসের অভিনয় কিন্তু খাসা এবং ঝকঝকে ।
এক নিমেষে শহরের যান্ত্রিক কোলাহল পুরো ভ‍্যানিস । শুরু হয় ভালোবাসার রাস । সারা বাড়িতে আনন্দের বন‍্যা । তাদের ছোট্ট সোমনাথ ফিরে এসেছে ।
তার ছোট বেলার বান্ধবীকে দেখে চেনা না চেনার মুহুর্ত যেন বলে দেয় পুরনো প্রেম বা বন্ধুত্ব কখনও ভোলা যায় না , একদম তাই এই যৌথ পরিবারে তা বুঝতে পারে দিদামা । যিনি এই চক্রবর্তী পরিবারের রাসকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন । যার মুখের ওপরে বাড়ির কেউ একটা কথা বলার সাহস দেখাতে পারত না । যাই হোক শুরু হল সোম আর রাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথনের মুহূর্ত , এক কথায় দুর্দান্ত কেমিষ্ট্রি । নৌকা বিহার , নাড়ু খাওয়া , সেই সাথে ‘ চেনা ঘর ‘ গানটার মধ‍্য দিয়ে অনেক না বলা কথা বলে দেয়া । সব কিছু বলতে নেই কিছুটা বুঝে নিতেও হয় , সেখানেই তো প্রকৃত বাংলা সিনেমার মজা লুকিয়ে থাকে ।
চলতে থাকে রাসের রিহার্সালের বিভিন্ন মুহূর্ত , অনেক ছোট্ট ছোট্ট হাসির দৃশ‍্য বড়ো জা বলে ওঠে – তরকারি বসানো আছে রান্না ঘরে গিয়ে দেখে আসার কথা , সত্যিই সত্যিই আমরা বাস্তবেও এটাই করে থাকি কিন্তু । রান্না বসিয়ে কোন কাজে গেলে কিছুক্ষন পর ঠিক এই অনূভুতি টাই আমাদের মা কাকিমাদের হয় । খুব
কম সময় হলেও বড্ড আবেগঘন যে । সাথী মুখার্জীর অভিনয় যেন বড়ো জায়ের চরিত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা , জাষ্ট কিছু বলার নেই ।
বাড়ির সবাই যেন ছোট থেকে বড়ো সবার সাথে সবার অসম্ভব এক আত্মিক টান ছিল । সবার দুঃখে সবাই দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়া , এরই নাম তো যৌথ পরিবার ।
একসাথে বাসন থাকলে তো একটু ঠোকাঠুকি লাগবেই তার মানে বাসন গুলো ফেলে দেব ? না কি ভালো বেসে আরও যত্ন করে গুছিয়ে রাখব ! কোনটা
আপনারাই বলুন না । মন থেকে বলবেন ।
পুরনো ফেলে আসা সেই ছোটবেলাকে আঁকড়ে ধরে থাকা এই রাস সিনেমায় । দুটি পর্যায়কে সাইমনটেনিয়াসলি দেখানোর মধ‍্যে যেনো বলে দিচ্ছিল দুটো সময় প্রতিটি ঘটনার বাঁকের মধ‍্য দিয়ে । সেটা রাই আর সোমের বন্ধুত্বপূর্ণ মুহুর্তই হোক আর দিদামার ঘরের আলমারির থেকে কাঁচের বয়ামে আচার চুরি হোক , জাষ্ট স‍্যালুট তথাগত মুখার্জী ।
ইমোশন শব্দটাকে কিভাবে কতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভিবে মানুষের মননশীলতায় প্রবেশ করাতে
হয় ‘ রাস ‘ তার জলজ‍্যান্ত উদাহরন ।
বাড়ির বড়ো ছেলে শঙ্কর দেবনাথ পড়েছিলেন সেই ৭০ এর দশকে । খেলার চ‍্যানেল দেখতে চাওয়া । ছাদে গিয়ে টেলিস্কোপ দিয়ে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান । আরও কতকি ! রেডিওতে খেলার খবর । একটু অন‍্য রকম চরিত্র , থিয়েটার যে কথা বলে বড়ো পর্দা আবার তার প্রমাণ । রঙিন কাগজ কেটে আপন মনে ওড়ানো । কেন এরকম থাকতেন জানেন !
বলব না , তার জন‍্য অতি অবশ‍্যই ❤রাস❤ দেখতে হবে । আবার একটু ধোঁয়াশা দিলাম । ভাবতে থাকুন আর রাসকে উপভোগ করুন ।
দিদামার অসাধারণ । সত্যিই সত্যিই একদম এই রকম ঠাকুমা আর দিদা আমরা সব সময় চাই । যে মানুষটি একদম মনের গভীরে গিয়ে মনটা কে পড়ে ফেলতে পারবে । অনুসুয়া মজুমদার ম‍্যাম কে প্রণাম ।

বাড়ির মেজ ছেলে অত‍্যন্ত কঠিন মেজাজের । গ্রাম তার ভালো লাগে না , তার কারন হল তার সোমের অল্প বয়সে তার স্ত্রীকে সে হারায় , তার ধারনা গ্রামের অব‍্যবস্থার জন‍্য তার স্ত্রীর মৃত্যু হয় । ঠিক যেমন হওয়া উচিত একদম তাই । রাগি সাথে মেজাজ আর ভয়েস নিয়ে কিছু বলার নেই , ব‍্যারিটোনিক ভয়েস, ভার্সটাইল শব্দের যথার্থ সংজ্ঞা । অভিনেতার নাম সুদীপ মুখার্জী ।
চক্রবর্তী বাড়ির জামাই সুমিত দত্ত । জামাই যদি এরকম না হয় , তাহলে জামাই কি করে বাড়ির আপনজন হবে ? সম্ভব কি ? কখনই নয় । প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনো চ‍েঞ্জ নেই । আবার বলব থিয়েটারের মানুষ গুলো সত্যিই সত্যিই কোথাও যেন একটু হলেও ব‍্যতিক্রম । অভিনয় যে প্রমাণ করে দিচ্ছে , কি করি বলুন তো ? আর অভিনয় খাসা । তবলা বাজানো রাসের মঞ্চে , মন্দ নয় কিন্তু ।
টেক্বা , জুলি , রাস একটাও ছাড়া যাবে না ।
বাড়ির আর এক জামাইয়ের কথায় আসি । স্পন্টেনিয়াস অভিনয় । দেখে ভীষণ রাগ হচ্ছিল । কিছু করার নেই ওটাই যে চরিত্র টা । ভালো অভিনয় টাই বোধহয় রাগের একমাএ কারণ , ঠিক বললাম কি ? অভিনেতার নাম বিমল গিরি । আরও অনেক অনেক ভালো কাজ দেখার জন‍্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
এই সিনেমার হিরোইন রাই , যাকে বলে টপ টু বটম নিখুঁত আর চাবুক অভিনয় । এর আগে রক্তবীজেও একদম ছোট খাটো চকলে ব‍্যোম । রাই চরিত্রের যথার্থতা প্রমাণিত । নৃত‍্যশিল্পী হিসেবেও যে অনেক দূর বিরাজমান প্রমাণ হয়ে গেল ।

রাস সিনেমার প্রায় শেষের দিকে আবির্ভাব হয় সৌমিকের । তার ইচ্ছে সত্বেও রাইকে নিয়ে জীবনযাপন সম্পূর্ণ হল না । কিন্তু যে টুকু অভিনয় করেছেন তাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন খুব অল্প কথা দিয়েও দর্শকের মনে কতটা দ্রুত স্থান অধিকার করে নেয়া যায় । সেই বিখ‍্যাত ডায়লগ – ভালোবাসা হল ইনভেস্টমেন্টের মত ‘ ।
Tathagata Mukherjee তথাগত মুখার্জীর হাত ধরে নতুন করে সৌমিকের মত চরিত্রের অন‍্যভাবে আবিষ্কার যে মানুষের মনে একদম আলাদা জায়গা এনে দিয়েছে থা বলার অপেক্ষা রাখে না । ভালো চরিত্রকে আবিষ্কার করতে জানতে হয় একদম নিজ বুদ্ধিমত্তা আর পরিশ্রম দিয়ে ।

গ্রামের পাঠশালার মাষ্টার মশাই এরকম হওয়া উচিত , লড়াই আর আত্মবিশ্বাসই যে শেষ কথা শ্রদ্ধেয় সর্বদমন সোম স‍্যারের অভিনয় চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিল । গাছের তলায় সোমের জন‍্য চা নিয়ে আসা । রাইয়ের দুঃখের কথা জানানো সবকিছু যেন অনেক শব্দের যথার্থতা প্রমান করে দিয়েছে । রক্তবীজ , বেলাইন , রাস প্রণাম স‍্যার ভালো থাকবেন ।

গ্রামের পঞ্চায়েত দেবপ্রসাদ হালদার নেগেটিভ চরিত্রাভিনেতা হিসেবে জুড়ি মেলা ভার রাস আবার প্রমাণ করে দিল । ঘাড়ে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ে পাঠশালার টাকা পয়সা আটকে রাখা , মাঠে দাড়িয়ে গুন্ডা লাগানো মনে হচ্ছিল অশান্তির বিনাষ হোক । অভিনয় কিন্তু জমিয়ে ।

অপ্রতিম চ‍্যাটার্জী রিতুর বাবার ভূমিকায় । অপমান সহ‍্য করেও জামাইকে তোল্লাই দিয়ে বাবা বাছা করে কথা বলে আটকে রাখা । মেয়েকে চর মেরেছে জামাই তার পরেও আহা উহু কেন । সেই বলতেই হয় জামাই না মেয়ে কে আপন ? অভিনয় সবটা জুড়ে
আকর্ষনীয় ।
বাড়ির ছোট বউ মৌসুমী অধিকারী , ঠিক টিপিকাল জামাইকে তোল্লাই দেয়া শাশুড়ি বলতে যা বোঝায় । মেয়ের তো রাগ হবেই । আমার ই রাগ হচ্ছিল দেখে । আমি তো দর্শক মাত্র । মেয়ে আগে না জামাই আগে ? অভিনয় টা মন্দ নয় । আরও ভালো কাজ হোক ।
বাড়ির ছোট ছেলে , প্রকৃতির সঙ্গে কতটা একাত্ম থাকলে আরশোলা , ইঁদুর আর পাখির সাথে কথোপকথন হয় এই চরিত্রটি তা বলে দিল । সেই থিয়েটারের মানুষ , থিয়েটারের শিক্ষা যে মস্ত বড়ো শিক্ষা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই । শেষ সিন পোষ্ট অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে গাছে বসে থাকা ছোট্ট নীল পাখির সাথে কথা বলার মুহুর্ত কোথাও যেন ভিন্নতা বজায় রেখে দিয়েছে । সত্যিই তো তার সাথে কথা বলার কেউ ছিল না ।
বাড়ির বড়ো ছেলের ছেলে , অর্ণ মুখোপাধ‍্যায় বাড়িতে লোক নিয়েসে চক্রবর্তী বাড়ির আমবাগান , পুকুর বিক্রি করে দিতে চাইলেও শেষ পযর্ন্ত হার স্বীকার করেছিল বাবার কাছে । ঠকেও যে অনেক কিছু শিখতে হয় । বাজারে মাছ কিনতে যাওয়ার ঘটনা তার উল্লেখযোগ‍্য প্রমাণ । নাটকের মানুষ , নাট‍্যদলের নাম নটধা । আর বেশি কিছু বলব না ।

রাস সিনেমার একটু নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেপ্রসাদ হালদার , গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসারের চরিত্রে । ঘাড়ে স্পন্ডিলাইটিসের বেল্ট পড়েও মাথায় বদমাইসি বুদ্ধি । গামের পাঠশালার টাকা আটকে রেখে দেয়া । গুন্ডা লাগিয়ে চারুদাকে মারার কারসাজি । দেখেই ভীষণ বিরক্তিকর একটা মানসিকতা তৈরী হওয়া । নেগেটিভ চরিত্র দেখে বিরক্তি বা রিগ যদি তৈরী না হল তাহলে ভালো অভিনয়ের সার্থকতা কোথায় তাই না !
অর্ণ মুখোপাধ‍্যায়ের বউয়ের চরিত্রে রিয়াঙ্কা রায় , খুব শান্ত ধীর স্থির চরিত্র । কিন্তু ভারি পরিণত অভিনয় । সিঁড়িতে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে যাওয়ার দৃশ‍্য অনেক কিছু প্রমাণ করে দিয়েছে । একদম অন‍্য রকম চোখে জল এসে গেছিল সেই দৃশ‍্যে । রাস না দেখলে সত্যিই সত্যিই উপলব্দি সম্ভব নয় সেই দৃশ‍্যের মর্মার্থ ।

ভোম্বলের চরিত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং চটকদার । ট্রলিতে বসে মাইকে ঘোষণা , শুনুন শুনুন শুনুন জাষ্ট হেব্বি । পারিয়া , রাস জবাব নেই । অভিনেতার নাম দেবাশিষ রায় ।

রিষভ চক্রবর্তী , পামেলা কাঞ্জিলাল , ওইসরিয়া পাল , রিক আর্য দেব সবাই জুনিয়র আর্টিষ্ট কিন্তু এক একজন পুরো ছোটখাটো একটা #দোদোমা । রাস সিনেমার খুব গুরুত্বপূর্ণ একঝাঁক অভিনেতা ও অভিনেত্রী । পুরো জমিয়ে দেয়া যাকে বলে । লোডশেডিং এর সময় ছাদে গানের লড়াইয়ের মুহুর্ত তার অনবদ্য উদাহরণস্বরূপ 👌🥰🎵🎙।

🎬📽🙏👌 প্রণাম সমগ্র রাস পরিবারকে 👌🙏📽🎬❤

🎬📽🙏👌❤ রাস দেখুন সপরিবারে জোর গলায় বলব নিরাস হবেন না ❤👌🙏📽

🔥🔥🔥❤❤❤ উইলিয়াম শেক্স পিয়ারের একটি বিখ‍্যাত উক্তি সেয়ার করলাম , আবার পুনরায় আমার
#রাসের রিভিউ দিয়ে – 🔥🔥 “No matter what anybody tells you, words and ideas can change the world.” – The Adventures of Sherlock Holmes 🔥🔥❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments