নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। তারপরে ওই দেহাংশ রাখা হয় ফ্রিজের মধ্যে। এই খুনের ঘটনা জানাজানি হয়েছে রবিবার। ঘটনা শোনার পরেই ভয়ে শিউরে এবং আঁতকে উঠছেন এলাকার লোকজন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বন্দনা কালিতা নামের এক মহিলাকে। বিয়ের পরে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বন্দনা। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই বন্দনা ওই খুন করেন। তারপরে তাঁদের দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। দেহাংশ রাখা হয় ফ্রিজের মধ্যে। খুনের তিনদিন পরে সেই দেহাংশ পুঁতে ফেলা হয়েছিল।
গত বছর অগাস্ট মাস থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অমরজ্যোতি দে এবং শঙ্করী দে।বন্দনা কালিতাকে গ্রেফতার করার পরেই হাড়হিম করা ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই দুজনকে খুন করতে বন্দনাকে সাহায্য করেছিল অরূপ ডেকা এবং ধনজিৎ ডেকা নামের দুজন। তাঁরা ওই খুনের পরে দেহ মাটিতে পুঁতে দিতে সাহায্য করেছিলেন। বন্দনাকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁকে পানবাজার মহিলা থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গুয়াহাটির পুলিশ।
গুয়াহাটির পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দনা চেয়েছিলেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে বন্দনা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, দুজনকে খুন করার পরে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তারপরে একটি ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয় ওই টুকরোগুলি। তিনদিন পরে, অরূপ ডেকা এবং ধনজিৎ ডেকার সাহায্য নিয়ে দেহাংশ নিয়ে যাওয়া হয় মেঘালয়ে। সেখানে আলাদা আলাদা জায়গায় দেহাংশ পোঁতা হয়। তাঁর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে মেঘালয় থেকে ওই দেহাংশ উদ্ধার করেছে অসমের পুলিশ।