নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়)নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। অর্পিতার পর এবার উঠে এসেছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম।নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ সরাসরি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তার কাছেই নাকি চাকরি বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। আর এই রহস্যময়ী নারীর নাম উঠে আসার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে।
কিন্তু অভিযোগকে মানতে নারাজ হৈমন্তীর স্বামী গোপাল দলপতি, যিনি নিজেও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁর স্ত্রী নির্দোষ, তাকে কুন্তল ফাঁসাচ্ছে, এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে শনিবার দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনই দাবী করেন গোপাল দলপতি।
এর পাশাপাশি কুন্তলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে গোপাল দলপতি বলেন, ‘ওঁর অ্যাকাউন্টে এমন কোনও ফান্ড ট্রান্সফার হয়নি। হৈমন্তী নির্দোষ, তা আমি প্রমাণ করে দেব। নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে হৈমন্তীকে ফাঁসিয়েছে কুন্তল।”
তাঁর আরও দাবী, ‘সিবিআই দফতরে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্দেশ মতো ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সঙ্গে এনেছিলেন গোপাল দলপতি। সেখানেই গোপাল দলপতির ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখতে পান কুন্তল। সেখানেই নমিনির জায়াগায় হৈমন্তীর নাম দেখতে পেয়ে নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে হৈমন্তীর নাম হাওয়ায় ভাসিয়ে দেয়।
মুম্বইয়ের যে সিরোকো পার্টনার্স কোম্পানির কথা উঠে এসেছে আর তার সাথে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ব্যাপারে গোপাল দলপতি স্বীকার করেছেন যে, সেই সব কিছুই তার নিজস্ব। তবে সেই কোম্পানির সঙ্গে স্ত্রী হৈমন্তীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও তিনি জানান। গোপাল দলপতির জোড়ালো দাবী, ‘ওঁর নামে কোনও ফান্ড আসেনি। হৈমন্তী সম্পূর্ণ নিদোর্ষ। আমি প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব সিরোকা পার্টনার্সের সঙ্গে ও কোনও ভাবে যুক্ত নয়।”
পাশাপাশি গোপাল দলপতির দাবী তিনি লুকিয়ে যাননি। সিবিআইকে ইনফর্ম করেই তবে তিনি দিল্লী এসেছেন একটি মামলার কাজে। তিন চারদিনের মধ্যে তিনি ফিরে যাবেন।
এছাড়াও তাদের সম্পর্কের বিষয়ে গোপাল দলপতি জানান, হৈমন্তী তাঁর স্ত্রী, তাদের ডিভোর্স না হলেও তারা বর্তমানে আলাদা থাকেন।