নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): অবশেষে ‘তপস্যা’ ভাঙলেন’! ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় প্রথমবার শীতবস্ত্র গায়ে চাপালেন রাহুল গান্ধী । ১২৫ দিন অতিক্রম করে শুক্রবারই কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে রাহুলের যাত্রা। উপত্যকায় প্রবেশের পর প্রথমদিনই জ্যাকেট গায়ে চাপাতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতাকে।
১২৫ দিন আগে তামিলনাড়ু থেকে শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তারপর সুদুর দক্ষিণ থেকে মধ্য ভারত পেরিয়ে উত্তরে পাড়ি দেওয়ার পথে আবহাওয়ার বহু রদবদল হয়েছে। দিল্লিতে তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। গত দু’তিন দিন তিনি ছিলেন কাশ্মীরে। যেখানে সন্ধার পর পারদ নেমে গিয়েছে ৩-৪ ডিগ্রিতে। এমনকী সকালে রাস্তায় বরফ জমে থাকতেও দেখা গিয়েছে। অথচ শীতবস্ত্র গায়ে চাপাননি রাহুল। এই প্রবল ঠান্ডায় কীভাবে স্রেফ টি-শার্ট পরে হাঁটছেন রাহুল, তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। বিরোধীরা নানারকম কটাক্ষ ছুঁড়েছে। এমনকী, রাহুল টি-শার্টের তলায় নামি সংস্থার ওয়ার্মার পরেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
কংগ্রেস আবার এতদিন বলে আসছে, রাহুল আসলে তপস্বী। দেশকে একত্রিত করার মহান উদ্দেশ্যে তিনি হাঁটছেন। আর তাঁর এই তপস্যার পথে ঠান্ডার মতো পার্থিব বস্তু তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না। রাহুল নিজে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি দেশের সেইসব শিশু, কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে শীতবস্ত্র পরছেন না, যারা এই ঠান্ডায় গরম জামাকাপড় কিনতে পারে না। বা এই ঠান্ডায় অল্প পোশাকে কাজ করতে বাধ্য হন।
রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক্ষণপুর পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে তিনি মহারাজা গোলাপ সিংহের প্রতিমায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স-এর অধ্যক্ষ ফারুক আব্দুল্লাহ হাতে মশাল নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। এই সময় তিনি জানিয়েছেন যে, ‘জম্মু-কাশ্মীরের লোকেরা প্রচুর কষ্ট সহ্য করেছেন। আমি এখানকার লোকেদের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নিতে এসেছি। কিছু বছর আগে আমার পরিবার জম্মু কাশ্মীরে থাকতো। সেখানে আমি হেঁটে যেতে চাই।’
তথ্য অনুযায়ী তাঁর যাত্রা জম্মু থেকে নিয়ে লক্ষণপুর হয়ে কাটুয়া, হিরানগর, বানিহাল টানেল হয়ে কাশ্মীর ঘাঁটি পর্যন্ত যাবে। সেখানে শ্রীনগরে ৩০ জানুয়ারি একটি বিশাল পদযাত্রার সঙ্গে তিনি যাত্রা শেষ করবেন। যাত্রায় তাঁর সঙ্গে সঞ্জয় রাউতও চলছেন। এই যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে ফারুক আব্দুল্লাহ, পিডিপি প্রমুখ মেহবুবা মুফতি, সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামিও যোগ দেবেন।