নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): আজ, ১০ই মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আবারও রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য বিপুল টাকা আটকে রেখেছে। যারা ডিএ চাইছেন তারা কিন্তু এ বিষয়ে কিছু বলছেন না। আন্দোলনটা যদি দুটো বিষয় মিলিয়ে হতো তাহলে একটা ভারসাম্য থাকত। এটা শুধু রাজনীতি হচ্ছে। ” তার মতে, ‘ডিএ কোনো অধিকার নয়, এটা অনুদান মাত্র।’ কুণালের এহেন মন্তব্যের পর শোরগোল পরেগেছে চারিপাশে।
তিনি আরও বলেছেন , “যারা ডিএ- র জন্য আন্দোলন করছেন তারাও ঠিকই জানেন সীমিত পরিমান ফান্ডে সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কতটা কষ্ট করে সরকার চালাতে হচ্ছে। তারও DA দেওয়ার ইচ্ছা আছে। যারা বলছেন ডিএ চাই,তারাও খুব ভাল করে জানেন কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী পর্যন্ত, বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের আওতায় তার পরিবারও রয়েছে যা মমতা সরকারই চালাচ্ছে।”
শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে বিগত বেশকিছু দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।বকেয়া ডিএ’র দাবিতে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন)। ২৮ ফেব্রুয়রি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিও পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মীদের বক্তব্য অনুসারে, বকেয়া ডিএর পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।যতদিন না DA বাড়ানো হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা।