ঝিনুকের মধ্যে মুক্ত
সুচরিতা দাস
রমেন বাবু রোজ বাজার থেকে বাড়ি ফেরে গজগজ করতে করতে l
আজ তাকে একটু বেশি উত্তেজিত দেখে তার মেয়ে সুপর্ণা তাকে জিজ্ঞেস করায় বলে কি আর বলব পুলিশের উপর রাগ ধরছে তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাস্তার মোড়ে এক পাগল কাঁথামুড়ি দিয়ে বসে আছে আর মাঝে মাঝে মানুষের দিকে ছুটে আসছে।
খুটি পোতা উৎসব শুরু হয়ে গেছে কিভাবে মেয়ে বউরা নিরাপদে রাস্তায় বেরোবে ?
সুপর্ণা বলে আজ কাগজের প্রথম পাতার খবর বাংলাদেশ থেকে ফেরারি আসামী প্রায় এক ডজন খুন কালোবাজারি মেয়ে পাচার কিছুই বাকি নেই l
বাবা সেই খুনি আসামীটা পাগলটা নয় তো?
যাই গিয়ে দেখে আসি রমেন বাবু বারণ করে কে কার কথা শোনে চিৎকার করে বলতেবলতে চলে গেল তুমি ভুলে যেওনা বাবা তোমার মেয়ে সাংবাদিক। অনেক দুর্যোগ বিপদের মধ্যে থেকে খবর সংগ্রহ করতে হয়।
সপ্তাহখানেক পরে বাজারের মোড়ে পুলিশেপুলিশ সবার সন্দেহ তাহলে ঠিক হয়েছে পাগলটাখুনি আসামী
তারপর যা ঘটনাটা ঘটলো দেখে সবার পুলিশের উপর ধারণা পাল্টে গেল l
বাংলাদেশ থেকে ফেরারি আসামী বাজারে মাংস দোকানে কাজ করছিল। পাগলটা আসলে ইন্সপেক্টর রনজিতচ্যাটার্জী রনজিত জানত এই পাড়ার মানুষজন নিরাপদ নেই সেজন্যই এভাবে দিনরাত পাহারা দিচ্ছিলl
সুপর্ণা প্রথম দিন রনজয় কে দেখে সাংবাদিকের চোখ ঠিক চিনে নিয়েছে যে সে পাগল নয় তার দীপ্তমান দৃষ্টি আর হাত পায়ের নখ সেভ দেখে
তারপর থেকে সে রোজই সবার চোখ এড়িয়ে তার সঙ্গে দেখা করে ও খাবার দেয়।
এভাবেই সাংবাদিক ও পুলিশের ভালোলাগা শুরু হয় রনজয় এ পাড়ায় এসে দাগি আসামী ধরার সঙ্গে সুপর্ণার কাছে ধরা দেয়।
রমেন বাবুর. পুলিশের উপরবিশ্বাস জন্মায় সে নিশ্চিন্ত হয় এবারের পূজোয় তার মেয়ে নিরাপদে পুলিশের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে পারবে।

