কলকাতা, ৫ জুন: এক ছাদের নিচে রাজনৈতিক কর্তব্য ও সামাজিক অনুষ্ঠান – এই দুইয়ের এক ব্যতিক্রমী মেলবন্ধন দেখা গেল গতকাল। একদিকে যেমন এক দলীয় কর্মকর্তার বাড়িতে মহাধুমধামে পালিত হলো মুখেভাত অনুষ্ঠান। তেমনি বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক।যেখানে উপস্থিত থেকে দলের কর্মীদের উৎসাহিত করলেন এলাকার বিধায়ক সুমিতা সিনহা। এই দুই ভিন্নধর্মী আয়োজন একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মুখেভাত অনুষ্ঠানে মহাপ্রভুর আগমন
বুধবার সকালে সরদা অঞ্চলের সটিকেশ্বর এলাকার এক বিশিষ্ট দলীয় কর্মকর্তা এর বাড়িতে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। মুখেভাত অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ , আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দলীয় কর্মকর্তা এর আতিথেয়তা এবং পারিবারিক ঐতিহ্য পালনে তাঁর নিষ্ঠা সকলের নজর কাড়ে।
বিকেলে সাংগঠনিক বৈঠকে বিধায়কের উপস্থিতি
সকাল থেকে যেখানে এক সামাজিক উৎসবের আমেজ ছিল, সেখানেই বিকেলে বদলে যায় চিত্র। একই দিনে বিকেলে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুমিতা সিনহা,মন্ডল সভাপতি দেবদাস মাইতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের রণনীতি এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিধায়ক দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা দেন এবং তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, “দলীয় কাজ শুধু মিটিং-মিছিলে সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়াও আমাদের কর্তব্য। আজকের এই অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান তারই এক প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন যে, “সামাজিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করাও সমানভাবে জরুরি।” বৈঠকে এলাকার বিভিন্ন স্তরের দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং বিধায়কের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন।