নিজস্ব সংবাদদাতা সম্পা ঘোষ :ঝাড়গ্রাম জেলার এক অনন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ব্ল্যাক করিডোর’ বহু বছর ধরে দুঃস্থ, সবর, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। সংস্থার কর্ণধার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা দেবদত্তা গাঙ্গুলী আনোয়ার এবং তাঁর মা দেবলীনা গাঙ্গুলী।
পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে গান, নাচ, আঁকা, নাটকসহ নানা কলা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। ঝাড়গ্রামের মূল কেন্দ্রের পাশাপাশি কলকাতা ও দিল্লিতেও এর শাখা রয়েছে। নিয়মিত কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে সংস্থা।৭ই আগস্ট আয়োজিত সঙ্গীত কর্মশালায় মেন্টর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পম্পা মিস্ত্রী ও মহুয়া ব্যানার্জী, সঙ্গে ছিলেন দেবলীনা গাঙ্গুলী।
দেবদত্তার কথায়, তাঁর এই উদ্যোগে পাশে আছেন বাবা দেবাশীষ গাঙ্গুলী, স্বামী তারিক আনোয়ার, দিদা সোনালী মজুমদার, ঠাকুমা কল্যাণী গাঙ্গুলী, দুই ছেলে রেহান ও নোমান, ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধুবান্ধব ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী। তাঁদের অক্লান্ত সহযোগিতা ছাড়া এই স্বপ্ন বাস্তব হতো না।
দেবদত্তা জানান, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাই তাঁর কাজের প্রেরণা। আগামী দিনে তাঁদের বড় পরিকল্পনা—বিজ্ঞান দিবসে পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কলকাতার সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠান করা।
শিক্ষা দানকে ‘পরম দান’ মনে করে ব্ল্যাক করিডোর এগিয়ে চলেছে—ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও মানুষের ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে।

